আজকে আমরা Ecoflow e980 এই পাওয়ার স্টেশন এইটা নিয়ে কথাবার্তা বলব। এই জিনিসটা কতক্ষণ চলবে? কয়টা ফ্যান লাইট পিসি ব্যবহার করতে পারবেন সেগুলো জানব। কিন্তু এই জিনিস সেটআপ প্রসেস আসলে কতটা সহজ সেটা ও জানব।
পাওয়ার ক্যাপাসিটি ও সোলার চার্জিং
Ecoflow E980 রাখা হলো। এবার যে লাইনের মাধ্যমে এসি কারেন্ট যাবে সেটাকে পিছনে প্লাগইন করে দিলাম। লাইন চলে আসছে, আর আলাদাভাবে কোন কিছু করার প্রয়োজন হলো না। Ecoflow E980 পাওয়ার স্টেশনটি ৫০০ ওয়াট লোড নিতে পারে। এখানে ১০০০ আওয়ারের ব্যাটারি রয়েছে এবং ৫০০ ওয়াট এ সোলার চার্জিং সুবিধাও রয়েছে।
- 500 ওয়াট পর্যন্ত লোড নিতে সক্ষম
- 1000Wh (ওয়াট আওয়ার) ব্যাটারি
- 500 ওয়াট সোলার চার্জিং সাপোর্ট
- MPPT বেসড সোলার ইনভার্টার – ম্যাক্সিমাম পাওয়ার কনজাম্পশনের সুবিধা
- অ্যাপ কন্ট্রোল, Wi-Fi কানেক্টিভিটি – যেকোনো জায়গা থেকে মনিটর ও কন্ট্রোল করা সম্ভব
আপনারা ড্যাফোডিল কম্পিউটারসে Ecoflow সকল ধরনের পাওয়ার স্টেশন পেয়ে যাবেন। যেখানে Ecoflow E980 এই পাওয়ার স্টেশনের বেষ্ট দাম রাখা হয়েছে এবং অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি সহ। এখানে শপ ইনফরমেশন দেয়া থাকবে। এই লেখা পড়ছেন মানে এই না যে এই জিনিসটা আপনাকে কিনতেই হবে। সবার বাড়িতে এখনো পর্যন্ত হয়তো ওই এসিড ব্যাটারি আইপিএস একটা রয়েছে , এখন ওই জিনিস খারাপ না চলছে ভালো। তারপরও আপনি যদি আধুনিক জিনিসপত্র আধুনিক টেকনোলজি ইনজয় করতে চান তাহলে এরকম পোর্টেবল পাওয়ার স্টেশনে আপনাকে মুভ করতে হবে। এগুলোতে এডভান্স অনেক অনেক সুবিধা রয়েছে। যেগুলো একবার ব্যবহার করা শুরু করলে আপনার কাছে ওই পুরাতন জিনিসগুলো আর ভালো লাগবেও না। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টাকার ভিতরে এই জিনিসটা আসলে কেমন? কারা কিনবেন? কাদের জন্য আসলে উপযুক্ত? কয়টা কেমন ফ্যান লাইট এগুলাতে চালাইতে পারবেন সে সবকিছু আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করবো এই লেখায় ।
বক্সের ভিতরে কী কী থাকছে?
Ecoflow E980 একটা বক্সের ভিতরে পাবেন যার ভিতরে অনেকগুলো কেবল রয়েছে। কার চার্জিং কেবল। এটা মূলত যারা ট্রাভেল করেন ড্রাইভ করেন কারে রেখে দিলেন এটা অটোমেটিক কার থেকে চার্জ হতে থাকবে। এরপরে ডিসি আউটপুট কেবল রয়েছে একটা এবং একটা এসি কেবল রয়েছে গ্রিড লাইনের সাথে সরাসরি সংযোগ করার জন্য। এই জিনিসটার ওয়েট মাত্র ১২ কেজি। এই সময় ওই এসিড ব্যাটারির কথা ভাবলে ভাই ওইটার ওয়েট অনেক বেশি। এসিড ছড়িয়ে থাকে। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় সেটআপ করতে হয়। (power station price in BD 2025)
- এসি কেবল – সরাসরি গ্রিড লাইনের সাথে কানেক্ট করার জন্য
- ডিসি আউটপুট কেবল
- কার চার্জিং কেবল – ট্রাভেল করার সময় গাড়ি থেকে চার্জ করার জন্য
- এক্সটি-60 কনভার্টার পোর্ট – সোলার প্যানেলের সাথে সংযোগের জন্য
- মোট ওজন – মাত্র 12 কেজি
ডিসপ্লে ও অ্যাপ ফিচার
Ecoflow E980 এটা যেহেতু পোর্টেবল এসিডের কোন ঝামেলা নেই আপনি ঘরের যেকোনো জায়গায় এটাকে সেটআপ করে রাখতে পারেন। মূলত দেখতে আরো সুন্দর লাগবে। সামনের দিকে একটা ডিসপ্লে আছে। এই ডিসপ্লেতে পাওয়ার স্টেশন কতক্ষণ চলবে তার ব্যাটারি পাওয়ারে, কত পারসেন্ট ব্যাটারিতে চার্জ আছে, কত ওয়াট ইন হচ্ছে, আউট হচ্ছে, সোলার থেকে কত ওয়াটের চার্জ হচ্ছে, এই সবকিছুই দেখা যায়। এরপরে আবার এটা অ্যাপ কন্ট্রোল। যেহেতু অ্যাপ সাপোর্টেড এবং ওয়াইফাই সাপোর্টেড যে কারণে আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনার পাওয়ার স্টেশন মনিটর করতে পারবেন। ব্যাটারি কত পারসেন্ট চার্জ আছে কতক্ষণ চলবে এখান থেকেও দেখতে পারছেন। এমনকি আপনি এসি পাওয়ার অফ অন ইউএসবি ডিসি পাওয়ার কত ওয়াট এটাকে চার্জ করতে চাচ্ছেন সেই সবকিছুই কিন্তু অ্যাপ থেকে আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন।
ফ্রন্ট ডিসপ্লেতে আপনি দেখতে পাবেন:
- বর্তমান ব্যাটারি পারসেন্টেজ
- ইনপুট এবং আউটপুট ওয়াটেজ
- ব্যাকআপ টাইম
- সোলার চার্জিং ইনফো
অ্যাপ থেকেও:
- এসি/ডিসি/ইউএসবি অন-অফ
- চার্জিং কন্ট্রোল
- রিয়েলটাইম ব্যাটারি ও লোড স্ট্যাটাস
ইনপুট/আউটপুট পোর্টসমূহ - Ecoflow E980 power station price in BD 2025 | Updated
মজার ব্যাপার হলো এটাতে এসি পাওয়ার আউটপুট তো দিচ্ছেই সামনে আবার ছয়টা ইউএসবি পোর্ট রয়েছে যেখানে চারটা ইউএসবি এ পোর্ট এবং দুইটা ইউএসবি সি পোর্ট দুইটা ইউএসবি সি পোর্ট থেকে এটা ১০০ ওয়াট আউটপুট দিতে পারে তারমানে আপনি ইউএসবি পাওয়ারে ফোন চার্জ থেকে শুরু করে যে কোন ইউএসবি ডিভাইসকে কিন্তু এখান থেকেই চার্জ করে নিতে পারবেন পিছনে আমরা একটা সোলার পোর্ট পাচ্ছি সোলার থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ ওয়াট পাওয়ার স্টেশনটা নিতে পারে যেখানে আমরা পাচ্ছি ১১ থেকে ৬০ এবং ম্যাক্সিমাম ১৫ এম্পিয়ার তার পাশে রয়েছে এসি ইনপুট পোর্ট এবং এখানে একটা ওভার ভোল্টেজ প্রটেক্টর রয়েছে। তার নিচে চারটা এসি আউটপুট পোর্ট রয়েছে এবং একদম নিচের দিকে আমরা ১২ ভোল্টের ডিসি আউটপুট পোর্ট পাচ্ছি যেখানে তিনটা পোর্ট রয়েছে।
- 4টি ইউএসবি এ পোর্ট + 2টি ইউএসবি সি পোর্ট (সাপোর্ট 100W ফাস্ট চার্জিং)
- 4টি এসি আউটপুট পোর্ট
- 3টি ডিসি 12V আউটপুট পোর্ট
- সোলার ইনপুট পোর্ট (11-60V, সর্বোচ্চ 15A)
- ওভার ভোল্টেজ প্রোটেকশন
- পিওর সাইন ওয়েভ আউটপুট – সেনসিটিভ যন্ত্রের জন্য নিরাপদ
আর এখানে যে সোলার ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে সেটা কিন্তু এমপিপিডি বেস টেকনোলজি। যে কারণে সোলার থেকে ম্যাক্সিমাম পাওয়ারটা সে নিতে পারবে কনজিউম করতে পারবে। সো এই ব্যাপারটা কিন্তু একটা ভালো ইনভার্টারে অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। যে কারণে দেখা যাচ্ছে আপনি যদি ৫৫০ ওয়াট বা ৬০০ ওয়াটের একটা প্যানেল এটাতে লাগাইতে পারেন তাহলে দেখা যাবে ম্যাক্সিমাম টাইম আপনি ৫০০ ওয়াট এর কাছাকাছি কিন্তু এর ইনভার্টারে ইন করাইতে পারবেন। আমি যেমনটা বলছিলাম এটাতে কিন্তু সোলার সেটআপ করা একদমই সহজ। আমরা ওখানে ওই যে পোর্টেবল সোলারটা রেখে দিয়েছি আর কেবল কানেক্ট করেছি। কনভার্টার এটার নাম হলো XT 60T। তো আপনারা যখন কোন সোলার প্যানেল কিনবেন তো ওই জায়গাটায় XT 60T কনভার্টার নিয়ে নিলেই হচ্ছে। জাস্ট পিছনে এটাকে ইন করে দিলেই হবে। এরপরে অ্যাপ থেকেই দেখা যাবে যে কত ওয়াটে এখন সোলার থেকে চার্জ হচ্ছে। যদিও এটা একেবারেই মানে ১১০ ওয়াটের প্যানেল যেটা এইটাতে লাগাইলে চার্জ হতে অনেক সময় লাগবে। তো দেখা যাচ্ছে যখন ৫০০ ওয়াট এ চার্জ করা হবে তখন কিন্তু ২.৯ আওয়ার্স এর ভিতরে এটা ফুল চার্জ হয়ে যাবে। তো ৫০০ ওয়াটের একটা সোলার প্যানেল যদি বাংলাদেশ থেকে আপনি নেন হয়তোবা ১১-১২ হাজার টাকা খরচ হইতে পারে।
ফ্যান, লাইট ও পিসি – কতটুকু ব্যবহার করতে পারবেন?
অনেকের মাথায় হয়তো অলরেডি ঘোরাফেরা করছে যে এই জিনিসটা দিয়ে যারা ছোট ফ্যামিলি বা ছোট অফিসের জন্য নিবেন কয়টা কেমন জিনিসপত্র ব্যবহার করতে পারবেন? কতক্ষণ ব্যাকআপ টাইম পাওয়া যাবে ? আমি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। যারা ছোট ফ্যামিলির জন্য নিবেন তারা একই সাথে তিনটা সিলিং ফ্যান ব্যবহার করতে পারবেন। চারটা এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারবেন। যেখানে ২৯০ ওয়াট লোড আসে আপনি ৩০০ ধরে নেন। এখন এর সাথে আপনি চাইলে একটা এলইডি টিভিও ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ৪০০ ওয়াটের কাছাকাছি লোডটা চলে যাবে। এরপরে যারা ছোট অফিসের জন্য নিবেন আপনি যদি উইন্ডোজ ইউজার হন তাহলে দুইটা পিসি বেসিক লেভেলের পিসি ব্যবহার করতে পারবেন সাথে দুইটা সিলিং ফ্যান দুইটা এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারবেন তবে যদি আপনি ম্যাক ইউজার হন তাহলে তিনটা চারটা ম্যাক এটা দিয়ে ইজিলি চলে ভাই আমাদের , তো এটাতে আর কেমন কি হবে আশা করি আপনাদেরকে লোড সম্পর্কে একটা আইডিয়া দিতে পেরেছি
এবার চলেন ব্যাটারি ব্যাকাপ কেমন পাওয়া যাবে সেটা শোনা যাক এটাতে যে ব্যাটারি রয়েছে সেটা হলো 980 আওয়ারের আপনি ১০০০ আওয়ার ধরেন ১০০০ AH মানে হল ১০০০ ওয়াট লোড দিলে ওই ব্যাটারি এক ঘন্টা আপনাকে ব্যাকাপ দিতে পারবে। এখন এইটাতে সর্বোচ্চ লোড ক্ষমতা হলো ৫০০। আপনি তো ১০০০ দিতে পারছেন না। তো ৫০০ ওয়াট লোড দিলে এই জিনিসটা দুই ঘন্টা ব্যাকাপ টাইম দিতে পারবে। আর ৫০০ ওয়াট লোড ক্যাপাসিটি যেটা দিছে ওইটা ছোট ফ্যামিলি বা অফিসের জন্য খুব একটা কমও না। আবার খুব একটা বেশিও মনে হয়নি। আর রাতের সময় আমরা ছোট ফ্যামিলিতে তো আর অতগুলা লাইট টিভিও চালাবো না। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দুইটা সিলিং ফ্যান যদি ব্যবহার করা হয়, সাত ঘন্টার কাছাকাছি সময় কিন্তু এই জিনিসটা ব্যাকআপ টাইম দিতে পারবে। সাথে যেহেতু সোলার চার্জিং সুবিধা রয়েছে তো আপনি যদি একটা সোলার প্যানেল লাগিয়ে রাখতে পারেন এটার সাথে তো দিনের সময় গ্রিড লাইন থেকে পাওয়ার সে খুব একটা নিবে না সোলার থেকে আপনার পাওয়ারটা পুষিয়ে দিতে পারবে এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয় কিন্তু হচ্ছে এটাতে 30ms ইউপিএস মোড না ইপিএস মোড রয়েছে নরমালি ইউপিএস মোডে ms টা আরো কম থাকে তো গ্রিডলাইন চলে যাওয়ার পরে আমরা অফিসে যখন ব্যবহার করব সেন্সিটিভ অনেক জিনিসপত্র থাকবে কম্পিউটার প্রিন্টার সিসিটিভি তো এগুলা বন্ধ হয়ে গেলে তো আর লাভ নাই নতুন করে অন করাটা একটা হ্যাসেল তো এর ms টা কেমন রেসপন্স করে সেটাগ্রিডলাইনটা বন্ধ করে দিলে ফোনের অ্যাপ থেকে আপনারা লোড, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি এগুললাও দেখে নিতে পারেন। বন্ধ করা যাক গ্রিডলাইন । এই মুহূর্তে আমাদের সম্পূর্ণ অফিসে যা কিছু চলছে রাইজন 9 এর একটা হাই কনফিগারেশনের Desktop PC। এখানে এম৪ ম্যাক এর একটা ম্যাক স্টুডিও রয়েছে। আর ফ্যান লাইট লাইট এগুলো তো ইজিলি ভালোভাবে সে ধরে রাখতে পেরেছে। তার মানে দেখা যাচ্ছে আমাদের 200 প্লাস লোড থাকার পরেও কিন্তু এর ইপিএস মোডটা বেশ ভালো রেসপন্স করেছে। এই রেজাল্টে বোঝা গেল।
ছোট পরিবারের জন্য: Ecoflow E 980 power station price in BD 2025 | Updated
- ৩টি সিলিং ফ্যান
- ৪টি LED লাইট
- ১টি LED টিভি
→ প্রায় 400 ওয়াট লোড, ব্যাকআপ ২ ঘন্টা
ছোট অফিসের জন্য:
- ২টি বেসিক লেভেলের উইন্ডোজ পিসি
- ২টি ফ্যান
- ২টি লাইট
→ ব্যাকআপ ২ ঘন্টা
ম্যাক ইউজার:
- ৩-৪টি ম্যাক ব্যবহার সম্ভব (লো লোড কনজাম্পশন)
রাতের সময় (কম লোড):
- ২টি ফ্যান চালালে ৭ ঘন্টা ব্যাকআপ
ব্যাটারি স্পেসিফিকেশন
এবার আসি কি কি আধুনিক টেকনোলজি এটাতে ব্যবহার করা হয়েছে বেশ কিছু জায়গায় ব্যাটারিতে চার্জিং স্পিডে তারপরে ইনভার্টারে সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া আছে। প্রথমত ব্যাটারির কথাই বলি যার কারণে মূলত এটাকে কম্প্যাক্ট করা সম্ভব হয়েছে। এখানে যে ব্যাটারি রয়েছে সেটা লিথিয়াম আয়রন ফসফেট। আর যেটা কিনা 3000 লাইফ সাইকেল শেষ করার পরেও 80% ক্যাপাসিটি ধরে রাখতে পারবে। তারমানে আপনি যদি প্রতিদিন একটা করে সাইকেল শেষ করেন তারপরেও দেখা যাবে আট বছর প্লাস মানে 10 বছরের কাছাকাছি সময় যেয়েও এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি রয়েছে 80%। এরপরে আসি চার্জিং স্পিডে। লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারি থাকার কারণে এটাতে ফাস্ট চার্জিং সুবিধা রয়েছে। আমরা যে সাধারণ আইপিএস সেটাপগুলো দেখি ওইগুলাতে কিন্তু এই ফাস্ট চার্জিং এর সুবিধা থাকে না। তো এই জিনিসটা এসি পাওয়ার দিয়ে চার্জ করলে দুই ঘন্টার ভিতরে ফুল চার্জ হয়ে যায়। আপনি যদি সোলার দিয়ে চার্জ করেন ৫০০ ওয়াট ইন হইলে 2.9 আওয়ার্স এর ভিতরে ফুল চার্জ হবে। ডিসি মানে কার থেকে যদি চার্জ করেন সেখানেও ৫০০ ওয়াট ইন হইলে 2.9 আওয়ার্স এর ভিতরে ফুল চার্জ হয়ে যাবে।
- Lithium Iron Phosphate (LiFePO4) ব্যাটারি
- 3000 লাইফ সাইকেল পর্যন্ত
- দৈনিক ১ বার সাইকেল ব্যবহার করলে ৮-১০ বছর পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যবহারযোগ্য
- AC চার্জিং: ফুল চার্জ ২ ঘণ্টায়
- DC/কার চার্জিং: ২.৯ ঘণ্টা
- Solar চার্জিং: ৫০০ ওয়াট ইনপুটে ২.৯ ঘণ্টা
নয়েজ ও নিরাপত্তা
আরেকটা ব্যাপার হলো সাধারণ আইপিএস গুলাতে দেখবেন ওই কুলিং ফ্যানে প্রচুর শব্দ হয়। বিশেষ করে যখন চার্জ হয় আশেপাশে রাখলে আপনি মানে বিরক্তি ফিল করবেন। বাট এটাতে তিনটা ফ্যান দেয়া হয়েছে। আর এই ফ্যানগুলা তখনই ফুল স্পিডে ঘুরে যখন কিনা এটা চার্জ হয়। ফুল স্পিডে ঘুরলেও খুব একটা নয়েজ ফিল করা যায় না। মানে আপনি সেটা সহ্য করতে পারবেন। আশেপাশে রাখলে অসুবিধা ফিল হবে না। আর এটাতে প্রোটেকশন বলতে সবই রয়েছে ইন আউটে। সবদিকেই প্রোটেকশন রয়েছে। পিওর সাইনওয়েভ রয়েছে। মানে সেনসিটিভ জিনিসগুলো ব্যবহার করা নিরাপদ এখানে। তবে বাংলাদেশের ভোল্টেজের ব্যাপারটা আমার কাছে মানে কেমন জানি অগোছালো মনে হয়। কোন সময় 200 দেখবেন কোন সময় আবার দেখবেন 240 প্লাস 250 ও দেখছি বিভিন্ন এলাকায়। সো যেটা করা যায়, তা হলো, একটা সার্কিট ব্রেকার লাগিয়ে রাখা ভালো। তো ওইটা কি করে? ওভার ভোল্টেজ যখন চলে আসে গ্রিড লাইন থেকে ওটাকে কাট করে দেয়। যে কারণে যতই মেশিনে প্রোডাকশনগুলো থাকুক ওভার ভোল্টেজ কোন সময় ঢুকে না। জিনিসটা সেভ থাকে। সো আপনারা যারা এরকম দামি দামি জিনিসগুলো ব্যবহার করবেন সব থেকে ভালো হয় এরকম একটা ওভার ভোল্টেজ কন্ট্রোল সুইচ লাগিয়ে নিন তাহলে একদমই নির্ভয় থাকতে পারবেন ।
- কুলিং ফ্যান তিনটি, নরমাল চার্জিংয়ে প্রায় নীরব
- ইন/আউটপুটে ওভারলোড, শর্ট সার্কিট, ওভারভোল্টেজসহ সব ধরনের প্রটেকশন
- পিওর সাইন ওয়েভ নিশ্চিত করে সেনসিটিভ যন্ত্রের নিরাপদ ব্যবহার
দাম ও ওয়ারেন্টি
এখন সবকিছু মিলিয়ে এই জিনিসটা দারুণ মনে হয়েছে ,এরকম পাওয়ার স্টেশনগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার হচ্ছে দেশে বিদেশে। একবার ব্যবহার তখন পুরাতন জিনিসগুলো আপনার আর ভালো লাগবে না বিশেষ করে ওই অ্যাপের বিষয়টা ওইটা ভালো লাগছে এখন কথা হইলো সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে দামটা একটু কম হতে পারতো ৬১৫০০ টাকার ভিতরে যদি কিনা এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি টা ১৫০০ হতো। প্রাইসটা এই তুলনায় আরেকটু কম হতে পারতো। এখন এই জিনিসটা যারা নিতে চাচ্ছেন তারা ড্যাফোডিল কম্পিউটারস এ যোগাযোগ করতে পারেন। দুই বছরের অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি তারা দিচ্ছে।
- প্রাইস: ৬১৫০০ টাকার মধ্যে
- অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি: ২ বছর
- পাওয়া যাবে: Daffodil Computers
পরবর্তী তে আমরা কিন্তু ডেলটা টু ম্যাক্স নিয়ে আসব। মানে যেটাতে সবকিছুই হায়ার লেভেলে লোড ক্যাপাসিটি ব্যাটারি ক্যাপাসিটি তারপরে সোলার চার্জিং ওটাতে ১০০০ ওয়াটের সোলার চার্জিং সুবিধা রয়েছে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Ecoflow E980 power station price in BD 2025 | Updated